শুক্রবার দুপুর। কনের বাড়িতে বরসহ এসেছেন বরযাত্রী। আপ্যায়ন চলছে দুপুরের। শুরু হয়েছে বিয়ের খাওয়া দাওয়া। এক কথায় সাজ সাজ অবস্থায় চলছে বিয়ের কর্মকাণ্ড। ঠিক এমন সময় কনের বাড়িতে হাজির ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
খবর ছিল কনেকে দেয়া হচ্ছে বাল্যবিয়ে। ইউএনও জেতী প্রুর হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় বিয়ে। আর তাতেই বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেন ১৬ বছর বয়সী এসএসসি পরীক্ষার্থী।
জানা যায়, উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আবুল কালাম মোল্যার কন্যা ও কৃষ্ণারডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ৩২ বছর বয়সী সাজ্জাদ মীরের বিয়ের দিন ছিল।
নগরকান্দা উপজেলার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেতী প্রুর এ সময় বর সাজ্জাদ মীরকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
বর সাজ্জাদ মীর উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কাইচাইল গ্রামের বাসিন্দা।
এ ছাড়া কনের পিতা আবুল কালাম মোল্যাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউএনও জেতী প্রু বলেন, ‘শিক্ষকের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়সী ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে সাজ্জাদ মীরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া কনের পিতাকে জরিমানা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এক জন শিক্ষক বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভূমিকা রাখার বদলে নিজেই বাল্যবিয়ে করছেন, এ কারণে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।’