প্রথম ধাপে প্রয়োগের জন্য ১২ হাজার করোনার টিকা পৌঁছেছে ঝালকাঠিতে।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে টিকাগুলো গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক জোহর আলী।
বিশেষায়িত গাড়িতে করে এই টিকা পাঠায় এর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী, পৌরসভা কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকিরসহ স্বাস্থ্য বিভাগের আরও অনেকে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী।
জেলার জন্য ১৯ হাজার ডোজ টিকা চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠালে প্রাথমিকভাবে এসেছে ১২ হাজার ডোজের জন্য ১২শ ভায়াল।
জেলা প্রশাসক জোহর আলী জানান, টিকাগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ভবনের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
জেলায় ১৫টি ক্যাটাগরিতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক জানান, টিকার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী, আইনৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
প্রথম ধাপে প্রয়োগের জন্য গত ২৫ জানুয়ারি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের পাঠানো ৫০ লাখ টিকা দেশে আসে। এর আগে ভারত সরকারের দেয়া ২০ লাখ টিকা আসে উপহার হিসাবে।
সিরাম থেকে সরকার মোট তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কিনেছে। গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিরামের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে। আর বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে আন্তর্জাতিক জোট কোভ্যাক্স দেবে পৌনে সাত কোটি টিকা, যা আসবে জুন নাগাদ।
প্রথম ধাপে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ, জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টিকা দেয়ার কথা আগেই জানিয়েছে সরকার।
টিকা পেতে আগ্রহীদেরকে নিবন্ধনের জন্য ২৬ জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে সুরক্ষা অ্যাপ। অবশ্য যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।