জেলা পর্যায়ে করোনা টিকা বণ্টনের অংশ হিসেবে মাগুরায় ২৪ হাজার টিকা পৌঁছেছে।
টিকা পরিবহনকারী বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি পিকআপ ভ্যান শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে মাগুরা সিভিল সার্জন কাযার্লয়ে পৌঁছায়। এই সময় জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন রেজোয়ান আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, ১২০০ ভায়ালে ২৪ হাজার টিকা এসেছে। এই টিকা কীভাবে দেয়া হবে, কাকে দেয়া হবে, সেটি এখনও ঠিক হয়নি। আপাতত টিকা জেলা সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ভবনের হিমাগারে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই টিকা দেশের নানা জায়গায় পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর আমরা পাইনি। জেলা করোনা কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কবে থেকে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।’
ভ্যাকসিন যারা দেবে, তাদের প্রশিক্ষণ খুব শিগগিরই হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
প্রথম ধাপে প্রয়োগের জন্য গত ২৫ জানুয়ারি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের পাঠানো ৫০ লাখ টিকা দেশে আসে। এর আগে ভারত সরকারের দেয়া ২০ লাখ টিকা আসে উপহার হিসাবে।
সিরাম থেকে সরকার মোট তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কিনেছে। গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিরামের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে। আর বিশ^জুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে আন্তর্জাতিক জোট কোভ্যাক্স দেবে পৌনে সাত কোটি টিকা, যা আসবে জুন নাগাদ।
প্রথম ধাপে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ, জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টিকা দেয়ার কথা আগেই জানিয়েছে সরকার।
টিকা পেতে আগ্রহীদেরকে নিবন্ধনের জন্য ২৬ জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে সুরক্ষা অ্যাপ। অবশ্য যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।