কাজের খোঁজে অবৈধ পথে ভারতে গিয়েছিলেন নারীসহ ১৯ জন বাংলাদেশি। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার তারা দেশে ফিরে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মাধ্যমে তারা সিলেটের বিয়ানীবাজার সীমান্ত দিয়ে দেশে আসেন।
তাদের বাড়ি পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, গাজীপুর ও রংপুরে। পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধপথে ভারত গিয়েছিলেন।
বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিলেটের বিয়ানীবাজার শেওলা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষে তাদের ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেয়।
বাংলাদেশে ঢোকার আগে শেওলা আইসিপিতে নিয়োজিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তাদের মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ পাননি। তা ছাড়া করোনা টেস্টের নেগেটিভ রেজাল্ট থাকায় তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়ে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক তৎপরতায় ভারতের আসামে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনারের সার্বিক সহযোগিতায় বিজিবি দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট বিএসএফ কর্তৃপক্ষ, আসাম পুলিশ কর্তৃপক্ষ ও আসাম রাজ্য সরকারের চিফ সেক্রেটারির সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ওই ১৯ জনকে দেশে ফিরে আসার ব্যবস্থা করে।
গত ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর আসামের গৌহাটিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন হয়। তখন বিজিবি মহাপরিচালক ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আসাম রাজ্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।