উদ্বোধনের ১০ দিনের মধ্যেই চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের নিজ গ্রাম দক্ষিণ টরকীতে বিশেষায়িত হাসপাতালটির তৈরি হয়েছে তারই বাবার নামে। গত ১৭ জানুয়ারি হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান।
এরই মধ্যে হাসপাতালের সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী বিশেষ করে গর্ভবতী ও শিশুরা চিকিৎসা নিতে আসছেন।
তবে এখনো প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ না হওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে হাসপাতালে কাজ করছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অতিদ্রুত স্থায়ীভাবে জনবল নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন রোগী ও চিকিৎসকরা।
হাসপাতালটিতে সিজারিয়ান সেবা ছাড়া মায়েদের গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসবোত্তর সেবা, পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা, শিশু সেবা, প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ ও যৌনবাহিত রোগের চিকিৎসাসহ সীমিত আকারে সাধারণ রোগেরও সেবা দেয়া হচ্ছে।
বর্তমানে নবনির্মিত হাসপাতালটিতে দুই জন মেডিক্যাল অফিসারসহ ১২টি পদ থাকলেও এখনো স্থায়ীভাবে জনবল নিয়োগ করা হয়নি। এখন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকসহ চার জন কর্মী রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
তাছাড়া সপ্তাহে একদিন প্রতি সোমবার এক জন মেডিক্যাল অফিসার রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
হাসপাতালটিতে সেবা নিতে এখন গড়ে ১০০ থেকে ১২০ জন রোগী সেবা নিতে আসছেন। অবশ্য রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী ওষুধের প্রাপ্যতা কম বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির ফার্মাসিস্ট কাশিরাম দাস। আরও ওষুধ প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
মতলব উত্তর পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার নাছির আহমেদ বলেন, ‘জনবলের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নিয়োগের আগ পর্যন্ত সংযুক্ত জনবল দিয়েই হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
অল্প সময়েই হাসপাতালটি মানুষের কাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানান পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের এই কর্মকর্তা।
চাঁদপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইলিয়াছ জানান, সেনাপ্রধানের পিতার নামে নির্মিত আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। তিনতলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবনে হাসপাতালটির চিকিৎসা কাজ পরিচালিত হচ্ছে।