ঢাকা থেকে প্রেমিকের খোঁজে এসে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পোশাক কর্মী। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও মির্জাপুর গ্রামের সোহাবুল ইসলাম এবং জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের দুদু মিয়া।
ওই পোশাককর্মীর বাড়ি নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলায়। কাজের কারণে তিনি ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
ওসি পলাশ চন্দ্র জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই পোশাককর্মী থানায় অভিযোগ করলে সোহাবুল ও দুদু মিয়াকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে মামলা করা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওসি আরও জানান, ওই নারী পোশাক শ্রমিকের সঙ্গে প্রায় আট বছর ধরে একই পোশাক কারখানায় চাকরি করেছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার এক যুবক। তাদের প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে ওই নারীকে বিয়ে করার কথা দেন ওই যুবক। ওই নারী পোশাককর্মীর কাছ থেকে মোবাইলে টাকা পাঠানোর অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় দেড় লাখ টাকা নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
প্রেমিকের খোঁজে ওই এলাকার ইউপি সদস্য সোহাবুলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাকে ফোন দেন। তখন সোহাবুল ওই নারীকে তার প্রেমিকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকা থেকে পাঁচবিবিতে আসতে বলেন।
ইউপি সদস্যের কথায় ওই নারী গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাঁচবিবি তিন মাথা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন। কিছুক্ষণ পরে সোহাবুল তাকে উপজেলার মিজার্পুর গ্রামের দুদু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। দুদু মিয়ার বাড়ির পাশেই ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়।
পরদিন কৌশলে পালিয়ে এসে থানায় অভিযোগ করলে সোহাবুল ও দুদুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার দুপুরে দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।