তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তোলেন ও ভিডিও ধারণ করেন হারুনুর রশিদ নামের এক যুবক। এসব ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তরুণীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা আদায় করেন। আরও টাকার জন্য চাপ দেন।
তরুণী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। হারুন সেসব ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে ওই তরুণী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় হারুনকে সোমবার গ্রেপ্তার করেন।
হারুনের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নামকান গ্রামে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) একটি দল নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
তিনি বলেন, হারুনুর রশীদ আসলে ওই তরুণীর সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেমের অভিনয় করেছেন। মেয়েটির দুর্বলতার সুযোগে হারুন তার ভিডিও ধারণ করেন এবং ছবি তুলে সংরক্ষণ করেন। নানা কারণে তাদের মনোমালিন্য হয়। এই গ্রেক্ষাপটে ১১ জানুয়ারি তরুণী জানতে পারেন, হারুন অন্য একটি নামের ফেসবুক আইডি থেকে তার ভিডিও এবং ছবি পরিচিতদের ম্যাসেঞ্জারে পাঠাচ্ছেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই তরুণী হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসব ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলার জন্য হারুন তখন তিন লাখ টাকা দাবি করেন। মানসম্মানের ভয়ে ওই তরুণী হারুনের হাতে টাকা তুলে দেন। কিন্তু তারপরও হারুন থামেননি। আগের মতোই তিনি ভিডিও ও ছবি ছড়াচ্ছিলেন ইন্টারনেটে। দাবি করছিলেন আরও টাকা। কিন্তু তরুণী আর টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। পরে তিনি আইনের আশ্রয় নেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, হারুনের মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। সেটি ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। এতে বোঝা যাবে, এই মুঠোফোন দিয়ে হারুন আর কোনো তরুণীর সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণা করেছেন কি না।