করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও বরিশাল নগরীর সড়কগুলোকে যানজট ও চাঁদাবাজমুক্ত করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ২০২০ সালে নয় হাজার ২১৮টি মামলা হয়েছে।
মামলাগুলোতে জরিমানা করা হয়েছে আট কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে আট হাজার ৪৬১টি মামলা নিস্পত্তি হয়ে দুই কোটি ৪১ লক্ষ পাঁচ হাজার ৯০০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল নগরীতে মাস্ক বিতরণের সময় এসব কথা বলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জাকির হোসেন মজুমদার।
বিএমপি উপপুলিশ কমিশনার আরও জানান, ২০২০ সালে ৯৩৮টি যানবাহন আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪৭টি যানবাহন মুক্ত করা হয়েছে। মুলতুবি করা হয়েছে ৯১ টি।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে সড়ক পরিবহন আইন চালু হয়। নতুন আইনে সাজার পরিমাণ বেশি হওয়ায় জনগনকে নতুন আইন সম্পর্কে সচেতন করার জন্য প্রথম পাঁচ-ছয় মাস জনসচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে। এ সময়ে অল্প পরিসরে মামলা দেয়া হয়েছে। পরে মহামারি পরিস্থিতিতে নানা রকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় কম মামলা হয়েছে। বরিশাল নগর ট্রাফিক বিভাগের ১৫ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তারা সুস্থ হয়ে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন বিএমপির ওই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, নগরীর ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বরিশাল নগরীর দপদপিয়া, কালিজিরা ও রহমতপুর থেকে শুরু করে পুরো নগরীকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
বিএমপি উপপুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।’
নগরবাসীকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলতে আহ্বান জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।