বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:০৫

ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে বিতর্কিতদের জায়গা দেয়ার প্রতিবাদে ও নতুন কমিটি ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছে নেতাকর্মীদের একাংশ। যদিও অভিযুক্ত নেতারা বলছেন, এসব অভিযোগ অসত্য।

ফরিদপুরে জেলা ছাত্রলীগের কমিটির নেতৃত্বে ‘বিতর্কিতরা’ জায়গা পাওয়ায় সংগঠনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। বিবাহিত ও মামলার আসামিদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।

অভিযোগ উঠেছে, কমিটিতে জায়গা পাওয়া দুই সহসভাপতি ও এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বহুল আলোচিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা মামলার আসামি।

গত ১৯ জানুয়ারি ২৫ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটি নিয়েই চলছে নানা রকম বিতর্ক ও কোন্দল।

এই কমিটির প্রতিবাদে ও বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।

ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) মিথুন কর্মকার বলেন, ‘সদ্য অনুমোদিত জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটিতে ছাত্রদলের এজেন্ট, যুবদলকর্মী, বিবাহিত, সন্ত্রাসী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়িতে হামলা মামলার আসামি রয়েছে। এই কমিটিকে কোনো ভাবেই আমরা মেনে নেব না।’

১৯ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ২৫ সদস্যের এক বছর মেয়াদী কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটিতে তামজিদুল রশিদ চৌধুরীকে সভাপতি ও ফাহিম আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এছাড়া ওই কমিটিতে আরও নয় জন সহসভাপতি, সাত জন সহসাধারণ সম্পাদক ও সাত জন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন।

গত ২৩ জানুয়ারি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ ইমতিয়াজ ও প্রচার সম্পাদক সাজিদুল ইসলামসহ ১০ জন নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, জেলা আওয়ামী লীগের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানায়।

অভিযোগে বলা হয়, তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বিবাহিত। শুধু তাই নয়, তার আপন ভগ্নিপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি। তার বাবাও ফরিদপুর জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ৫ এর (গ) ধারা উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, গঠনতন্ত্রের ওই ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবে না।

নিজের বিষয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়ান বলেন, ‘আমি বিবাহিত নই। আমার বাবা রিয়াদুল রশিদ চৌধুরী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তবে আমার পরিবার আওয়ামী লীগপন্থি।’

ভগ্নিপতি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনানের বিষয়ে রিয়ান বলেন, ‘আমার বোনের সঙ্গে যখন তার বিয়ে হয় তখন অনু জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছিলেন না।’

অভিযোগ সম্পর্কে লেখক ভট্টাচার্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিয়ানের বিবাহিত হওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়।

‘এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়িতে হামলা মামলার যে তিন অভিযুক্তের কথা বলা হয়েছে তাদের বিষয়ে এখনও কোনো অকাট্য প্রমাণ মেলেনি। তারা দোষী প্রমাণিত হলে কমিটি থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর