হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে তানভীর আহমেদ নামের এক স্কুলছাত্রকে তিন যুবক হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তানভীর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় আফরাজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত।
তানভীরের বাবা ফারুক মিয়া জানান, ২৪ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে তানভীরকে অপহরণ করে একই গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে জাহেদ মিয়া, সৈয়দ আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া ও মলাই মিয়ার ছেলে শান্ত মিয়া।
অপহরণের পর তারা তাকে ফোন করে ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ৮০ লাখ টাকা দাবি করে। অপহরণকারীদের ফোন পেয়েই তিনি ঘটনাটি শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশকে জানান।
পুলিশ রোববার রাতেই জাহেদ ও শান্তকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ অপহরণের হোতা উজ্জ্বলকে মঙ্গলবার সকালে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আটককৃতরা তানভীরকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রবিউল ইসলাম, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ পুলিশের একটি টিম একটি পুকুর থেকে তানভীরের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুকুরটি অপহরণকারী উজ্জ্বলের।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, ‘মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা ওই ছেলেটিকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘অপহরণকারীদের ভাষ্য মতে তানভীরকে গলায় ফাঁস দিয়ে ও বুকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে ওই তিন যুবক।’