বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধোঁয়াশা কাটেনি

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:০০

এসআই রওজাতুন জান্নাত নিউজবাংলাকে জানান, রোববার তাহের স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান। সকালে উঠে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সাদিয়া ঝুলছেন।

গাইবান্ধা সদরে বিয়ের দুদিন পর বাবার বাড়ি থেকে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের তিনদহ বাজারের পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে সোমবার সকালে পুলিশ সাদিয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রওজাতুন জান্নাত নিউজবাংলাকে জানান, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর অভাবের কারণে পড়ালেখা ছেড়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি নেয় সাদিয়া। করোনা মহামারিতে গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেলে তাকে বাড়ি ফিরে আসতে হয়।

গত শনিবার সাদিয়ার বিয়ে হয় বাদিয়াখালী ইউনিয়নের রিফাইতপুর গ্রামের আবু তাহেরের সঙ্গে। তাহের ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার প্রথম স্ত্রী কিছুদিন আগে তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।

এসআই আরও জানান, রোববার তাহের স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান। সকালে উঠে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সাদিয়া ঝুলছেন।

পুলিশ ময়ানাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এদিকে সাদিয়ার মৃত্যুর পর তার বয়স নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা। কেউ কেউ বলছেন মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক। যদিও বিয়ের কাজির দাবি, তার বয়স ১৮ বছরের বেশি।

রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ও ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত মো. সারোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাদিয়াকে আমি ভালোভাবে চিনি-জানি। সে আমার প্রতিবেশি। তার বয়স ১৫-১৬ বছরের বেশি হবে না।’

তবে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নিকাহ ও বিবাহ রেজিস্ট্রার মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের ইস্যুকৃত জন্মনিবন্ধন সনদে সাদিয়ার জন্ম তারিখ ২ জানুয়ারি, ২০০২। এতে বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সই রয়েছে। সেই হিসেবে তার বয়স ১৯ বছর পেরিয়েছে। আমি এটা দেখেই বিয়ে রেজিস্ট্রি করি।’

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।

প্রতিবেশী মো. আল হেরা মুঠোফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভাবের কারণে সাদিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়েছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর