ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। তবে দুই দেশের মধ্যে করোনা প্রতিরোধ শর্ত মেনে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল।
মঙ্গলবার ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় এ পথে কোনো আমদানি-রপ্তানি হবে না। বুধবার সকাল থেকে আবার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, সকাল থেকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পণ্য খালাস কার্যক্রম সচল রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে করোনা প্রতিরোধ শর্ত মেনে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করছেন।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই দেশের বন্দরে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক। আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প কারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট এবং পাটজাত দ্রব্য ও মাছ।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থল পথে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও আট হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের বছরে রাজস্ব আয় হয় প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।