বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যা মামলার আসামি উপাধ্যক্ষকে বরখাস্ত করল মাউশি

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:১২

আবেদন আমলে নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আহসান উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করে ১৮ জানুয়ারি মাউশির বেসরকারি কলেজ শাখা থেকে অফিস আদেশ জারি হয়েছে।

একটি হত্যা মামলায় জেলহাজতে থাকা জামালপুর সদরের দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মো. আহসান উল্লাহ ওরফে জুলহাসকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

২০১৬ সালে জামালপুর সদরের দিগপাইত ইউনিয়নের মেঘা নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক হত্যা মামলায় আসামি করা হয় আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক আহসান উল্লাহকে।

মামলায় ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে যান তিনি। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

কলেজেও আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে রয়েছে বেশ কিছু অভিযোগ। তিনি প্রভাব খাটিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ হয়েছেন, তার বিরুদ্ধে কলেজের কৃষি ডিপ্লোমা শাখায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জালিয়াতি করে শিক্ষক নিয়োগসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

নিয়োগবাণিজ্যের বিষয়টি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ে তদন্তও হয়েছে। তবে এখনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েও কলেজে কর্মরত থাকা চাকরিবিধি পরিপন্থি উল্লেখ করে একই কলেজের বিএম শাখার কম্পিউটার অপারেশন বিভাগের প্রভাষক এ কে এম হুমায়ুন শরীফ মাউশিতে অভিযোগ করেন। তিনি আহসান উল্লাহকে চাকরি থেকে বরখাস্তের আবেদন করেন মাউশির কাছে।

আবেদন আমলে নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আহসান উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করে ১৮ জানুয়ারি মাউশির বেসরকারি কলেজ শাখা থেকে অফিস আদেশ জারি হয়েছে।

মাউশির বেসরকারি কলেজ শাখার সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত ওই আদেশে হত্যা মামলার আসামি আহসান উল্লাহকে তার গ্রেপ্তার হওয়ার তারিখ ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে অধিদপ্তরকে জানানোর জন্য কলেজটির অধ্যক্ষ ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিকে নির্দেশ দেয়া হয়।

আহসান উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি শুনেছি যে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ জারি হয়েছে। তবে সেই আদেশের অনুলিপি এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলে বিষয়টি কলেজ গভর্নিং বডির সভায় উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

হত্যা মামলাটির আপোষ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

নিহত আব্দুল খালেকের ভাই আব্দুল মালেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভাই হত্যা মামলার আসামি আহসান উল্লাহ মিথ্যা কথা বলেছেন। ওই মামলাটির কোন আপোষ হয়নি। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।’

দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহির উদ্দিন তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটি হত্যা মামলার আসামি ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ প্রভাষক আসহান উল্লাহকে মাউশি থেকে সাময়িক বরখাস্তের অফিস আদেশ জারি হয়েছে শুনেছি। আদেশপত্রটি হাতে পাইনি। পেলে কলেজের লিগ্যাল অ্যাডভাইজারের মাধ্যমে আইনি দিকগুলো দেখে তাকে বরখাস্তের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর