রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে একই রাতে দুই তরুণ আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে এক তরুণ তার প্রিয় মানুষের জন্য মরতে পারেন, এমনটি প্রমাণ করার জন্য সত্যি সত্যি গলায় ফাঁস দেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রজেক্ট এলাকায় নিজ নিজ বাসায় রোববার গভীর রাতে ওই দুই তরুণ আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, দুই তরুণ হলেন শোয়েব আহম্মেদ ও নাইমুর রহমান। তাদের মধ্যে শোয়েব আহম্মেদ কাপ্তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ক্রেন অপারেটর খয়েস আহম্মদের ছেলে। আর নাইমুর রহমান পিডিবির ইলেক্ট্রনিক্যাল বিভাগের কর্মনায়ক ফরহাদ হোসেনের ছেলে। দুজনই তাদের বাবার কাপ্তাই পিডিবির বরাদ্দকৃত বাসায় থাকতেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নাইমুর রহমান এক তরুণীকে পছন্দ করতেন। তার জন্য মরতে পারেন বলেও দাবি করতেন নাইমুর। এই প্রেক্ষাপটে রোববার গভীর রাতে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে শোয়েব আহম্মেদ পারিবারিক কলহের জেরে রোববার দিবাগত গভীর রাতে আত্মহত্যা করেন। তিনি বিউবো উচ্চ বিদ্যালয়ে বিনা শ্রমে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কাপ্তাই থানার ওসি মো. নাছির উদ্দিন বলেন, অপমৃত্যুর (ইউডি) পৃথক মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।