প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা আত্মসাতের দায়ে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি সোমবার নিশ্চিত করেছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া।
তিন ইউপি সদস্য হলেন নাওডোবা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহিন ফকির, ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য সালমা আক্তার এবং ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মনোয়ারা বেগম।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত ১৭ জানুয়ারির ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওই তিন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিবন্ধী ইলিয়াস তালুকদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে ভাতার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে। এ জন্য তাদের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ ছাড়া ১৭ জানুয়ারি পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশে তাদের কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তার জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর নাওডোবা ইউনিয়নের শারীরিক প্রতিবন্ধী ইলিয়াস তালুকদার ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, তাকে দিয়ে ব্যাংক থেকে ভাতার টাকা তোলার পর ওই তিন ইউপি সদস্য আত্মসাৎ করেন। তিন মাসের ৯ হাজার টাকা ভাতা থেকে তাকে মাত্র দুই হাজার টাকা দেয়া হয়।
তার মতো ১০ থেকে ১৫ জনের কাছ থেকেও এভাবে টাকা নেয়া হয় বলে ওই অভিযোগে বলা হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও আশরাফুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে ভাতার টাকা আত্মসাতের সত্যতা পান তারা। পরে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর মন্ত্রণালয় সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান আশরাফুজ্জামান।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য শাহিন ফকির জানান, রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি এর সঙ্গে যুক্ত নন। তবে অন্যরা ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে তিনি শুনেছেন। তারা কিছু টাকা ফেরত দিয়েছে বলেও তিনি জানতে পেরেছেন।