কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রায় সাত বছর আগে নবী হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক আব্দুর রহিম সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই দণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন নবী হোসেনের কথিত স্ত্রী শীলা ওরফে সুমনা ও তার পরকীয়া প্রেমিক নজরুল ইসলাম।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অন্য দুই আসামি আশরাফুল রাসেল ও শরীফ মিয়াকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি সুমনাকে রেজিস্ট্রিবিহীন বিয়ে করেন নবী হোসেন কবিরাজ। তারা থাকতেন ভৈরবের চন্ডিবেড় দক্ষিণপাড়া গ্রামে সুমনার ভাড়া বাড়িতে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এর মধ্যেই আগের প্রেমিক নজরুলের সঙ্গে আবার সম্পর্কে জড়ান সুমনা।
ঘটনা জানার পর নবী হোসেন ও নজরুলের মধ্যে বিরোধ চলে। এর জেরে ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই ভাড়া বাড়িতেই নবীকে গলাকেটে হত্যা করেন সুমনা ও নজরুল। মরদেহ কয়েক টুকরা করে ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে রাখেন তারা।
তিন দিন পর মরদেহের অংশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ভৈরব থানায় পুলিশই মামলা করে।
নবী হোসেনের প্রথম স্ত্রী বিলকিছ বেগমের দেয়া তথ্যে গ্রেপ্তার করা হয় সুমনাকে। আদালতে সুমনার দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর গ্রেপ্তার করা হয় নজরুল ও অন্য দুই জনকে।
মামলায় জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক সুমনা। তার অনুপস্থিতিতেই সোমবার রায় ঘোষণা করে আদালত।