ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সীর ছোট ভাই জামাল মুন্সী নিহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলার চর-চারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন খন্দকারসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামি করা হয়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ রোববার দুপুরে নিউজবাংলাকে জানান, শনিবার গভীর রাতে হানিফ ও নিহত জামালের বড় ভাই জাহাঙ্গির মুন্সী আশুগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
ওসি আরও জানান, ঘটনার দিন আটক পাঁচ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন চর-চারতলা গ্রামের মাহবুবুর রহমান, কাওসার মিয়া, মাসুদ আলম, জীবন মিয়া ও রনি মিয়া।
জামাল মুন্সী উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের হাজী ফজলুল হক মুন্সীর ছোট ছেলে।
২৭ আসামির বাড়ি চর-চারতলা গ্রামে। তাদের মধ্যে জিয়াউদ্দিন খন্দকার চর-চারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে চর-চারতলা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন খন্দকারের লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা করে ও বাড়ির ফটকে ভাঙচুর করে। এ সময় জাহাঙ্গির মুন্সী ও জামাল মুন্সী তাদেরকে বাধা দিলে আবু সহিদ, সফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও মো. আজিজ পেছন থেকে জামালকে জাপটে ধরে। এ সময় পলাশ মিয়া তার হাতে থাকা বল্লম দিয়ে জামালের বুকে আঘাত করে। অন্য আসামিরা আরও কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে।
আহত জামালকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদি জাহাঙ্গির মুন্সীর অভিযোগ, কোনো কারণ ছাড়াই তার মেজো ভাই হানিফ মুন্সীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আবু সহিদ, সেলিম মিয়া, আবদু মিয়া, জিয়া খন্দকার, শফিক, দিলুর নেতৃত্বে কয়েক জন তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তার ভাই জামাল হামলাকারীদের বাধা দিলে তাকে হত্যা করে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে মামলার আসামি ও চর-চারতলা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন খন্দকার জানান, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।