এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন রোববার। সাক্ষীরা অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ পিছিয়ে দেন বিচারক।
সিলেটের মুরারী চাঁদ কলেজ (এমসি) ছাত্রাবাসে ধর্ষণের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনই (রোববার) আদালতে অনুপস্থিত সাক্ষীরা।
এ কারণে সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক এই তারিখ নির্ধারণ করেন। এ সময় মামলার ৮ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম বলেন, আজ (রোববার) প্রথম দিন সাক্ষীদের হাজির না করে ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের দুই মামলা একই আদালতে একসঙ্গে বিচার শুরুর আবেদন করেন বাদিপক্ষের আইনজীবী। বিচারক তা খারিজ করে পরবর্তী তারিখে সাক্ষী হাজির করার নির্দেশ দেন।
এর আগে আট জনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। গত ১৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ধর্ষণ মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বন্ধ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
রাতেই ওই নারীর স্বামী ছয় জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন। তিন দিনের মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আসামিরা সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
পদে না থাকলেও গ্রেপ্তার হওয়া সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় ও কলেজ সূত্রে জানা যায়। ওই ঘটনার পর দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইনও সংস্কার করে সরকার।