বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘর পেয়েছেন এখন বিয়ে করবেন দুলু

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:৩৬

‘জন্মের পর থেকে দুনিয়ার আলো দেখতে পারি নাই। মায়ের হাত ধরেই চলছি। কোনোদিন ভাবি নাই, নিজের একটা থাকার জায়গা হবে, তাও আবার পাকা ঘর। যদিও কাঁচা ঘর বা পাকা ঘর কিছুই দেখতে পাই না আমি, তবে অনুভব করি। চোখে দেখতে না পেলেও মায়ের চোখ দিয়েই আমি সবকিছু দেখি।’

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাকরাইল গ্রামের বাসিন্দা দুলু শেখ। জন্ম থেকেই চোখে দেখতে পান না ৩০ বছর বয়সী মানুষটি। বয়স যখন দুই বছর, মারা যান বাবা। মা ছবিরন নেছা বড় করেছেন তাকে।

বাবা হান্নান শেখের কোনো জমি ছিল না। থাকতেন অন্যের জমিতে। তিনি মারা যাওয়ার পর দুলু ও তার মাকে সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই মা-ছেলে কখনও এ বাড়ি আবার কখনও ওবাড়ি রাত কাটাতে থাকেন।

অন্ধ ছেলেকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই চলে তাদের দুজনের।

দুলুর একটি কষ্ট অন্তত ঘুঁচল। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার লক্ষণদিয়া আশ্রায়ণ প্রকল্পে একটি পাকা ঘর পেয়েছেন তিনি। মাকে নিয়ে সেখানেই উঠেছেন।

শনিবার সকালে মধুখালী উপজেলা পরিষদে আসেন ঘরের চাবি বুঝে নিতে মাকে নিয়ে আসেন দুলু। তার হাতে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা মনোয়ার।

দুলু শেখ বলেন, ‘জন্মের পর থেকে দুনিয়ার আলো দেখতে পারি নাই। মায়ের হাত ধরেই চলছি। কোনোদিন ভাবি নাই, নিজের একটা থাকার জায়গা হবে, তাও আবার পাকা ঘর। যদিও কাঁচা ঘর বা পাকা ঘর কিছুই দেখতে পাই না আমি, তবে অনুভব করি। চোখে দেখতে না পেলেও মায়ের চোখ দিয়েই আমি সবকিছু দেখি।’

ঘরতো পেলেন এবার বিয়ে করবেন না প্রশ্ন করা হলে তিনি মুচকি হেসে বলেন, ‘ঘর পেয়েছি, এখন বিয়ে তো করতে পারিই।’

দুলু শেখের মা ছবিরন নেছা বলেন, ‘পাকা ঘরে থাকব ভাবতেই পারি নাই। এবার ছেলেকে নিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে পারব।’

উপজেলার মথুরাপুর এলাকার সরকারি খাস জমিতে একটি ছাপড়া উঠিয়ে থাকতেন সেকেন্দার আলী। তার পায়ে সমস্যা, চলাফেরা করতে পারেন না। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। কোনো রকমে সুতা তৈরির কাজ করে সংসার চালান। জমি কেনা বা ঘর তৈরির ক্ষমতা ছিল না।

মথুরাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়ায় স্ত্রী ও সন্তানদের মুখে হাসি ফুটেছে।

সেকেন্দার আলী বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে পারব। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।’

ফরিদপুর জেলায় প্রথম পর্যায়ে এক হাজার ৪৮০ জন গৃহ ও ভূমিহীন পেয়েছেন এমন ঘর।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৯২টি, আলফাডাঙ্গায় ২২০টি, বোয়ালমারীতে ৯২টি, মধুখালীতে ১৪৮টি, নগরকান্দায় ১০৫টি, সালথায় ৩৫টি, ভাঙ্গায় ২৫০টি, সদরপুরে ১৭৮টি এবং চরভদ্রাসন উপজেলায় ১৫০টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর