যশোরের মণিরামপুরের গৃহহীনরা ঘরের পাশাপাশি পাচ্ছেন লাখ টাকা মূল্যের গাভী।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এই বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন।
শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের ঘর বিতরণ উদ্বোধন করার পর মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন প্রতিমন্ত্রী।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বাড়ির দলিলগুলো হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘প্রতিবন্ধী, বিধবা ও কর্মহীন মানুষ মণিরামপুরে ঘর পাচ্ছেন। তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি গাভী এবং গাভী পালনের জন্য ছয় মাসের খাদ্য কিনতে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।’
আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এই গাভী দেয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আগামী বছর আরও এক হাজার দুইশ পরিবারের মাঝে এই গাভী বিতরণ করা হবে।
যারা গাভী পাবেন, তারা যেন দুধ বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে না পড়েন সেই জন্য মণিরামপুরে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার একটি কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণাও দেন স্বপন। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের দুইতলা মার্কেট করার ঘোষণাও দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে হানাদার মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। তারই নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এরপর জিয়া ও এরশাদ মিলে সেই স্বপ্ন নষ্ট করতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বের গুণে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রী যে ৬৬ হাজার ঘর তুলে দিয়েছেন তার মধ্যে যশোরে আছে ৬৬৬টি।
এই জেলায় আরও ৪০৭ পরিবার দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাবে জমি ও ঘর।
প্রথম পর্যায়ে সদর উপজেলায় ২৯০টি, ঝিকরগাছায় ১৯টি, চৌগাছায় ২৫টি, মণিরামপুরে ১৯৯টি, অভয়নগরে ৫৭টি, কেশবপুরে ১২টি ও শার্শা উপজেলায় ৫০টি ঘর পেয়েছেন সুবিধাভোগীরা।