বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘরের পাশাপাশি ফেসবুক লাইভে মিলল বিধবা ভাতা

  •    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:৫৫

নিউজবাংলার লাইভ প্রোগ্রাম ‘নিউজবাংলা ঢাকার বাইরে’ অনুষ্ঠানে শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় যুক্ত হন দুলালী। তিন দশক আগে স্বামীহারা এই নারী জানান তার দুঃখের কথা। সরকার বিধবা ভাতার যে কার্ড দিয়ে থাকে, সেটি তিনি পাননি এখনও। প্রোগ্রামটি দেখেছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিধবা ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন অসহায় এই নারীর জন্য।

গাইবান্ধার দুলালী বেগমের খুশির সীমা নাই। সুখ তার জীবনে ধরা দেয়নি কখনও। শেষ জীবনে এসে মিলল কিছুটা স্বস্তি। বিনামূল্যে পাকা ঘর উপহার পেয়েছেন সরকারের কাছ থেকে। আরেকটা আক্ষেপ যা ছিল, তা আবার মিটেছে অনলাইন সংবাদপত্র নিউজবাংলার বদৌলতে।

দুলালী বেগম সেই ৬৬ হাজার মানুষের একজন যিনি মুজিব বর্ষে সরকারের উপহারের ঘর পেয়েছেন। এর মধ্যে এই নারী বিশেষ একজন হয়ে গেলেন অন্য একটি কারণে।

নিউজবাংলার লাইভ প্রোগ্রাম ‘নিউজবাংলা ঢাকার বাইরে’ অনুষ্ঠানে শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় যুক্ত হন দুলালী। তিন দশক আগে স্বামীহারা এই নারী জানান তার দুঃখের কথা। সরকার বিধবা ভাতার যে কার্ড দিয়ে থাকে, সেটি তিনি পাননি এখনও।

প্রোগ্রামটি দেখেছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিধবা ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন দুলালীর জন্য।ঘরের চাবি আর দলিলের পাশাপাশি ভাতার কার্ড পেয়ে যারপরনাই খুশি দুলালী। খুশিতে কাঁদতে থাকেন তিনি।

প্রতি তিন মাস অন্তত দেড় হাজার করে টাকা পাবেন দুলালী। এই টাকা সরাসরি চলে যাবে তার মোবাইল ফোনে।

খুশিতে কাঁদতে থাকেন দুলালী বেগম

দুলালী বলেন, ‘সুয়ামি মরি গেছি তিরিশ বছর আগোত। ম্যানষে মোর ঘর-দুয়ের ভাঙি দিছি। এখন ঘর পাচি; জমিন পাচি। যতদিন বাঁচি আছম, এটিত থাকিম। এটি ওটি থাকি চায়া চিন্তে খাম না খাম; ঘরের তলত তো থাকপের পাম।’

সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণমাধ্যমে খবর দেখে দুলালী বেগমের মানবেতর জীবন যাপনের বিস্তারিত তথ্য পেয়ে তার খোঁজ-খবর নিয়েছি। সকালে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তরের সময় ঘরের সঙ্গে তাকে বিধবা ভাতার কার্ড দেয়া হয়।’

গাইবান্ধার সাত উপজেলার অসহায় ও ভূমিহীন আট শতাধিক পরিবারকে ‘স্বপ্ননীড়’ ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে এদিন।

সাদুল্লাপুরে যে আদর্শপাড়ায় দুলালী বেগম ঘর পেয়েছেন, সেখানে বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, হতদরিদ্র ও গৃহহীন ৩০টি পরিবারের আশ্রয় হয়েছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নবী নেওয়াজ বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যাচাই-বাছাই করে বিধবা, ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী শ্রেণিভুক্ত ভূমিহীন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। প্রত্যেকের নামে দুই শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ করা হয়।’

জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, ‘মুজিববর্ষে জেলার সাত উপজেলার ৮৪৬টি দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারকে বাসস্থান দেয়া হয়েছে। গৃহহীন পরিবারের মানুষদের জন্য এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করে শনিবার হস্তান্তর করা হলো।’

প্রথম পর্যায়ে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় ৮৪৬টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে ১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১০৫টি, সুন্দরগঞ্জে ২৭২টি, গোবিন্দগঞ্জে ১২০টি, সাদুল্ল্যাপুরে ১৭৯টি, ফুলছড়িতে ৭৫টি, সাঘাটায় ৩৫টি ও পলাশবাড়ীতে ৬০টি ঘর নির্মাণ করা হয়।

পাশাপাশি সাঘাটা ও ফুলছড়িতে নবনির্মিত চারটি ব্যারাকে ২৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকেও পুনর্বাসন করা হয়েছে। এতে জেলায় বিনামূল্যে পাকা ঘরে ঠাঁই পেল এক হাজার ১২৬ পরিবার।

এ বিভাগের আরো খবর