বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আশীর্বাদ করি শেখ হাসিনা দীর্ঘজীবী হোক’

  •    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৪৯

খুলনার ৯২২টি পরিবারের মধ্যে তেরখাদা ৪০টি, দিঘলিয়া ৭০টি, ডুমুরিয়া ১৪০টি, ফুলতলা ৪০টি, রূপসা ৭২টি, পাইকগাছা ২২০টি, বটিয়াঘাটা ১৫০টি, কয়রা ৫০টি, দাকোপ ১৪০টি পরিবার জমি ও ঘর পেয়েছেন।

খুলনার ডুমুরিয়ার ভরাতিয়া গ্রামের কৃষক পরিমল দাস। তার পরিবারের তিন ছেলে প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকেই অন্ধ তিন ছেলেকে নিয়ে তার অভাবের সংসার পরিমলের। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এক শতক ভিটেতে কাঁচা ঘরে তার কোনোভাবে বেঁচে থাকা। নিজের কোনো চাষের জমি না থাকায় অন্যের জমিতে মজুরি খেটে যা পান তা দিয়ে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে কোনোভাবে দিন চলে।

শনিবার মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে নতুন ঘর পেয়েছেন পরিমল। পেয়েছেন নিজের দুই শতাংশ জমিও। ঘরের চাবি হাতে পেয়ে প্রকাশ করেছেন বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস।

পরিমল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ আমারে পাকা ঘর দিছে। ঘর পেয়ে আমি খুবই আনন্দ পাইছি। খুবই খুশি হয়ছি। আশীর্বাদ করি শেখ হাসিনা সুখে থাকুক, দীর্ঘজীবী হোক।’

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খুলনা বিভাগে তিন হাজার ২২৫টি পরিবার এবং জেলায় ৯২২টি পরিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমিসহ ঘর তুলে দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভূমিহীন ও গৃহহীন সব পরিবারের কাছে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন, কেএমপি কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি খ. মহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, এডিসি (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

খুলনার ৯২২টি পরিবারের মধ্যে তেরখাদা ৪০টি, দিঘলিয়া ৭০টি, ডুমুরিয়া ১৪০টি, ফুলতলা ৪০টি, রূপসা ৭২টি, পাইকগাছা ২২০টি, বটিয়াঘাটা ১৫০টি, কয়রা ৫০টি, দাকোপ ১৪০টি পরিবার জমি ও ঘর পেয়েছেন। এই ৯২২ পরিবারের প্রধানদের মধ্যে ৫৭০ জন দিনমজুর, ৩২ জন শ্রমিক, তিন জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ২০১ জন কৃষক, ৫৮ জন গৃহিনী, চার জন প্রতিবন্ধী, ২৮ জন ভ্যানচালক, ১২ জন ভিক্ষুক এবং অন্যান্য ১৪ জন।

নতুন বাড়ি পাওয়া ডুমুরিয়ার সুন্দরবুনিয়া গ্রামের বৃদ্ধা তপতি মন্ডল বলেন, ‘আমি বাপের বাড়ি ভাইদের দয়ায় উপর বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে এখন আর কোনো কাজ করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী আমারে এই ঘরটা দিছেন এতে আমি খুবই খুশি হইছি, উনারে ধন্যবাদ।’

এ বিভাগের আরো খবর