বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় পাগলা মসজিদের দানবাক্সে উপচে পড়া টাকা

  •    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:০১

করোনা সংক্রমণের শুরুতে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচল এবং নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকলেও দান অব্যাহত ছিল। গত বছর দান বাক্সে জমা পড়েছিল এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা। এবার ছয় মাস যেতে না যেতেই এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা জমা পড়ল।

কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দান বাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ১৪ বস্তা টাকা। পাঁচ মাস পাঁচ দিনে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়ল সেখানে।

দিনভর গুণে পরে পাওয়া গেছে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। এছাড়া জমা পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রূপা।

অর্থাৎ প্রতি দিন দেড় লাখ টাকার বেশি দান পায় কিশোরগঞ্জের এই মসজিদটি।

করোনাকালে মসজিদটিতে দানের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

গত বছর দান বাক্সে জমা পড়েছিল এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা। এবার ছয় মাস যেতে না যেতেই এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা জমা পড়ল।

টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাস, মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরদের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল নয়টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে গণনা। এতে অংশ নেন মাদ্রাসার ১২৭ ছাত্র, ব্যাংকের ৫২ জন স্টাফ ও মসজিদ কমিটির ৩৩ জন সদস্য।

মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূইয়া নিউজবাংলাকে জানান, মসজিদে দান বাক্স রয়েছে আটটি। সেখানে প্রতিনিয়ত মানুষ সহায়তা দিয়ে থাকে। করোনা সংক্রমণের শুরুতে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচল এবং নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকলেও দান অব্যাহত ছিল।

পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়। অসহায় ও জটিলরোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়।

দান বাক্স খোলার পর থেকেই গণনা দেখতে মসজিদের আশেপাশে ভিড় জমায় আশেপাশের মানুষ। অনেকে আবার আগ্রহ নিয়ে ছুটে আসেন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।

দানবাক্স কমিটির আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসউদের তত্ত্বাবধানে দান বাক্সগুলো খোলা হয়।

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, উবাইদুর রহমান সাহেল, জুলহাস হোসেন সৌরভ, ইব্রাহীম উপস্থিত ছিলেন।

পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক অনুপ কুমার ভদ্রও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর