চট্টগ্রামের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবাবারকে ৫৩৮টি ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জমি ও গৃহপ্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর হাতে দলিল, নামজারী ও গৃহ প্রদানের প্রয়োজনীয় কাগজ বুঝিয়ে দেয়া হবে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প থেকে প্রদত্ত নমুনা মোতাবেক কবুলিয়ত দলিল, নামজারী ও গৃহ প্রদানের সনদ প্রতিটি উপকারভোগীদের মাঝে আলাদা ফোল্ডার করে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলায় মোট ৫৩৮টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৬৫টি, পটিয়ায় ১১৫টি, চন্দনাইশে ৭৫টি, সাতকানিয়ায় ৩০টি, লোহাগাড়ায় ১৮টি, বাঁশখালীতে ২৫টি, ফটিকছড়িতে ১৮৫টি ও কর্ণফুলী উপজেলায় ২৫টি। এরইমধ্যে ২৩৮টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে। এগুলোতে চলাচলের রাস্তাসহ বিদ্যুৎ ও পানি সুবিধা রয়েছে। চলতি ২০২১ সালের ১৭ মার্চের মধ্যে গৃহ ও ভূমিহীনদের মাঝে আরও এক হাজার ১৩৬টি ঘর দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষণার পর পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্থানীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারা উপকারভোগীদের মাঝে গৃহের দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করবেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তির নিজস্ব অর্থায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য রাউজান উপজেলায় ৫৪টি ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যাদের জমি আছে কিন্তু অসচ্ছল তাদেরকে নিজ জায়গায়, যারা ভূমিহীন ও অসচ্ছল তাদেরকে সরকারি খাস জায়গায় গৃহ নির্মাণ করে দেবে সরকার।