বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শীতের কথা ভাবলি কী আর পেট চলবে?’

  •    
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:০৪

শুধু মমিন মন্ডলই নন; তার মতো আরও তিন দিনমজুর ধানের চারা রোপণ করছিলেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকে ধান লাগানোর কাজ করেন তারা।

‘শীতের কথা ভাবলি কী আর পেট চলবি কাকা? শীত তো পড়বিই। তারপরউ কাম করতি হবি। আর কাম করলি শীত লাগে না। হাত চলচে, গাও এমনিই গরম হয়ে যাবিনি। পানির জন্যি পায়ে শীত লাগচে। তারপরও কী করব বাপ? কাম তো করতি হবি।’

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে শুক্রবার সকালে ধানের চারা রোপণের সময় কথাগুলো বলছিলেন দিনমজুর মমিন মন্ডল।

শুধু মমিন মন্ডলই নন; তার মতো আরও তিন দিনমজুর ওই সময় ধানের চারা রোপণ করছিলেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকে ধান লাগানোর কাজ করেন তারা।

শীত আর ঘন কুয়াশায় স্থবির হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের জনজীবন। সকাল থেকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে প্রকৃতি।

দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলতে দেখা গেছে। কমেছে যান চলাচলের গতি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বিভিন্ন গন্তব্য ও দূরপাল্লার যাত্রীরা।

সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের মামুন হোসেন বলেন, ‘সকালে পরিবার নিয়ে খুলনা যাব। কুয়াশার কারণে গাড়ি আসতি দেরি করছে। এখনও বইসে আছি।’

শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় তুষার নামের এক ব্যক্তি জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার গাড়িতে ওঠার কথা। চুয়াডাঙ্গা থেকে গাড়ি আসতে দেরি করছে। এক ঘণ্টার বেশি সময় বসে আছেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম বলেন, ‘সঠিকভাবে বলা না গেলেও তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শীত ও কুয়াশার কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। পাশাপাশি কোল্ড ইনজুরিতে বীজতলার ক্ষতি হচ্ছে।

‘এ ক্ষেত্রে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলে কিছুটা উপকার পাওয়া যেতে পারে। আমরা বীজ রক্ষায় কৃষকদের প্রাথমিক করণীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর