সিরাজগঞ্জে হামলায় নবনির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান নিহত হওয়ার পেছনে পুলিশের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন তার স্ত্রী হাসিনা খান হাসি।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুলিশকে দায়ী করেন।
হাসি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন থেকেই পুলিশ আমাদের অসহযোগিতা করছে। ঘটনার সময় শহীদগঞ্জ কেন্দ্রে আমার স্বামী বারবার প্রিসাইডিং অফিসারের রুমে ঢুকতে চাইলেও পুলিশ তাকে ঢুকতে দেয়নি। পুলিশ ভেতরে ঢুকতে দিলে হয়তো এমন হত্যাকাণ্ড ঘটত না।’
হাসিনা অভিযোগ করেন, ‘ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ছুরি মেরে তারা চলে গেল। সেখানকার পুলিশ তাদের ধরল না। আবার মামলা দেয়ার পরও এজাহারভুক্ত আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকটিভ। এরপরও পুলিশ তদের ধরছে না।’
তিনি দাবি করেন, তরিকুল কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচন করেননি।
‘আমার স্বামীকে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী বলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা খুনি শাহদৎ হোসেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে। আমার স্বামী কোনো রাজনৈতিক দল থেকে না, তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের মনোনয়নে নির্বাচন করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বামীর খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন হাসি।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে গত ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ভোটে জয়ী হন কাউন্সিলর তরিকুল। সন্ধ্যায়ই তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী শাহদৎ হোসেন বুদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে হৃদয়।
মামলা হওয়ার পরপরই এজাহারভুক্ত ২৭ নম্বর আসামি স্বপন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
- আরও পড়ুন: কাউন্সিলর নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি