বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুজিববর্ষ: নওগাঁয় ঘরহীন মানুষের হাসিমুখ

  •    
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:৩১

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁয় এক হাজার ৫৬ ভূমিহীন ও ঘরহীন পরিবার ঘর পাবেন। আধাপাকা প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। যেখানে আছে দুইটি শোবার ঘর, একটি টয়লেট, রান্নাঘর ও বারান্দা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নওগাঁয় এক হাজার ৫৬ ভূমিহীন ও ঘরহীন পরিবার পাচ্ছে মাথা গোজার ঠাঁই।

জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন (ক ও খ শ্রেনি) পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় ঘরগুলো তৈরি হচ্ছে। গৃহ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। এখন হস্তান্তরের অপেক্ষা।

শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানায়, নওগাঁ সদর উপজেলায় ১১০টি, বদলগাছীতে ৪৮টি, মহাদেবপুরে ৩৪টি, আত্রাইয়ে ১৭৫টি, রানীনগরে ৯০টি, মান্দায় ৯০টি, সাপাহারে ১২০টি, নিয়ামতপুরে ৭১টি, পোরশায় ৫৪টি, ধামইরহাটে ১৫০টি ও পত্নীতলায় ১১৪টি ঘর নির্মাণ চলছে।

মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের বর্দ্দপুরে ৪৯টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আধাপাকা প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। যেখানে আছে দুইটি শোয়ার ঘর, একটি টয়লেট, রান্নাঘর ও বারান্দা।

মান্দা উপজেলার ভূমিহীন তাহমিনা বেগম বলেন, ‘হ্যামাকে (আমার) জাগা জুমি-ঘরবাড়ি কিচ্চু নাই। মানষের জাগাত বেড়ার ঘর করা পরিবার পরিজন লিয়্যা (নিয়ে) থাকি। হ্যাম্যাকে নামে ঘর দেওয়া হচ্চে শেখের বেটির কাছে ম্যালা কিতজ্ঞ জানাচ্চি।’

বিথী রানী বলেন, ‘একন নতুন বাড়িত স্বামী সন্তানোক লিয়্যা থ্যাকা পারমু। দুইবেলা দুমুঠো খ্যায়া লিচ্ছিন্তে ঘুমাবা পারমু।’

সদর উপজেলা বর্ষাইল ইউনিয়নের বাচারী গ্রামের দিনমজুর রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘অন্যের বাড়িত বউক লিয়্যা থাকা ল্যাগে। দিনমজুরী করা হ্যামার সংসার চলে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিক জন্নি ঘর দেওয়া হবে বলে স্যাররা হামার কাছ থ্যাকা কাগজপত্র নিসলো। শুননু হামার নামেও এ্যাডা ঘর দিবে ২৩ তারিখোত। ঘরগুলা ম্যালা সুন্দর হচে।’

নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঘরের বরাদ্দ আর একটু বাড়ানো হলে আরো ভাল হতো। বাড়ির ডিজাইনসহ আনুষঙ্গিক কিছুটা পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ করে ঘরের যে ভীত দেড় ফুট আছে আর একটু বাড়াতে হবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘জেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীন (ক ও খ শ্রেনী) পরিবারের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৯৩টি। প্রথম পর্যায়ে দুই শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত পূর্বক ঘর প্রদান করা হচ্ছে।

‘গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার বিশেষ করে অন্যের বাড়ি ও রাস্তার পাশে ঝুঁপড়ি ঘরে, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, দিনমজুর, ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রধিকার দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষিকী উপলক্ষে এসব অসহায়রা ঘর পেলে মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর