বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘স্বপ্নের ঘরে’ স্বস্তির জীবনের অপেক্ষায়

  •    
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:০৩

আশ্রয়হীন পরিবার পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে ৮৫৫টি ও বেসরকারি উদ্যোগে ৮৭টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। ‘ক’ শ্রেণির উপকারভোগী পরিবারগুলোকে দেয়া হবে জমির দলিল, খতিয়ান ও ভূমিহীন সনদপত্র।

ভিটামাটি ছাড়া জীবনের অবসান ঘটতে যাচ্ছে নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার ৯৪২টি পরিবারের। ‘স্বপ্নের ঘরে’ স্বস্তির জীবনের অপেক্ষায় রয়েছে পরিবারগুলো।

প্রধানমন্ত্রীর ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের এক জন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ ঘরগুলো পাবেন গৃহহীনরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আশ্রয়হীন পরিবার পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে ৮৫৫টি ও বেসরকারি উদ্যোগে ৮৭টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। ‘ক’ শ্রেণির উপকারভোগী পরিবারগুলোকে দেওয়া হবে জমির দলিল, খতিয়ান ও ভূমিহীন সনদপত্র।

আগামী ২৩ জানুয়ারি জেলার নয়টি উপজেলার ১৫০টি ও ১৭ মার্চ ৭০৫টি পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হবে তাদের ঘর।

এর বাইরে জেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও মানবিক ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত ঘর ৮৭টি পরিবারকে দেয়া হবে।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবু ইউসুফসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঘর পাওয়া প্রসঙ্গে ভূমিহীন ও গৃহহীন হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আঙ্গো এমন খারাপ অবস্থা আছিলো যে মাথা গুজাইবার মতন জাগা আছিলো না। আল্লার রহমতে বঙ্গবন্ধুর বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আঙ্গোরে ঘর করি দিছে।’

গৃহহীন আবু তাহের বলেন, ‘আমরা কয়দিন হরে স্বপ্নের ঘরে উডগুম। হোলা-মাইয়া লই ডাইল-ভাত খাই বাঁইচতাম হারুম।’

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা জানান, গৃহহীনদের জন্য তার উপজেলায় সরকারিভাবে ২৭টি ও বেসরকারি উদ্যোগে সাতটি ঘর নির্মাণ চলমান। এরমধ্যে ২৩ জানুয়ারি সরকারি ১৫টি ও বেসরকারিভাবে নির্মিত পাঁচটি ঘর গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খান জানান, ২৩ জানুয়ারি প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জেলায় ১৫০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া ওইদিন হাতিয়ার মন্নান নগরে ৯৪৫ পরিবারের জন্য নির্মিত একটি বড় আশ্রয়ণ প্রকল্পও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও জানান, ঘরগুলো নির্মাণে যাতে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না হয়, সে জন্য প্রতিটি উপজেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তদারকি করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর