বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা, অফিস সহকারী বরখাস্ত

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৩৯

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের দুই জনকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা গ্রহণ করেন হালিমা খাতুন। এ জন্য তিনি সেই সময়ের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেছেন।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ডিসির স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা, দূর্নীতি ও অসদাচরণ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের অফিস সহকারী বেগম হালিমা খাতুনেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা অনুযায়ী এ রায় দেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হালিমা খাতুন পূর্ববর্তী কর্মস্থল গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগপত্র তৈরি করেছেন ও চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন। ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারি ( শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪ উপবিধি ৩(ঘ) বিধান মোতাবেক অভিযুক্ত অফিস সহায়ক বেগম হালিমা খাতুনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত (গুরুদন্ড) প্রদান করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের নুপুর আক্তার এবং নাজমুল বেপারীকে শরীয়তপুর রাজস্ব প্রশাসনে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা গ্রহণ করেন হালিমা খাতুন। এ জন্য তিনি সে সময়ের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ করেন নুপুর।

এ ছাড়া গ্রাম পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে একই গ্রামের রুমা আক্তার হ্যাপির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা এবং সুমন ব্যাপারীর কাছ থেকে তিন লাখ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে হালিমার বিরুদ্ধে।

নুপুর আক্তার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন’ ‘সত্যের জয় হয়েছে। সরকারি চাকরি পাওয়া সোনার হরিণ। তাই চাকরি পাওয়ার আশায় হালিমার ফাঁদে পা দিয়েছিলাম। এ টাকা জোগার করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন আইনের মাধ্যমে টাকা ফিরে পেলে শান্তি পাব।’

অভিযুক্ত হালিমার সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন, ‘হালিমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রশাসনিক কর্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারি শৃংখলা ও আপীল বিধিমালা অনুযায়ী তদন্ত করা হয়। তাকে ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ দেয়া হয় এবং সর্বশেষে সকল কাগজপত্র ও তার বক্তব্য এবং তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তাকে গুরুদন্ড চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর