মাদ্রাসায় যেতে দেরি হওয়ায় মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়েছেন শিক্ষক। নিজের ভাইকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজেও মারধরের শিকার হয়েছেন ওই মাদ্রাসা ছাত্রের বড় ভাই।
বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখার হিফজুল কুরআন মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
আহত মাদ্রাসা ছাত্র শাকিল আহমেদের বাবা আব্দুল মালিক মখলিছ জানান, মাদ্রাসায় যেতে শাকিলের ২০ মিনিট দেরি হয়। এ নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক কাওসার আহমদ তার ছেলেকে ধমকাধমকি করেন। এক পর্যায়ে তাকে বেত দিয়ে পেটাতে শুরু করেন তিনি।
খবর শুনে শাকিলের বড় ভাই শাহিন আহমদ মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষক ও ছাত্ররা মিলে তাকেও পেটায়। তিনি আরও জানান, মাদ্রাসায় গেলে তিন শিক্ষক তাকে দা তাড়া করেন।
পরে শাহিন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
শাকিল নিউজবাংলাকে বলেন, সে দেরিতে মাদ্রাসায় যাওয়াতে ও পড়া না পারাতে শিক্ষক তাকে মেরেছেন। তার পিঠ, হাত ও উরুতে আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলেও জানায়।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল খলিলুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, শাকিল ছোট একটি ছেলেকে মারধর করলে শিক্ষক তাকে বেত দিয়ে পেটালে তার শরীরে দাগ পড়ে যায়। এতে ছেলেটির বাবা ও ভাই মাদ্রাসায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি থানার মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি বসে সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’