কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে সরকারি চাকরি ও টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ দেয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।
এই অভিযোগে বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আওলাদকে তার পদ থেকে অপসারণেরও দাবি জানানো হয়।
কাদিরজঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমীন লিটন বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে অনেক অযোগ্য ব্যক্তিকে বিভিন্ন এলাকায় নেতৃত্বে এনেছেন আওলাদ। ত্যাগী নেতাদের বিতাড়িত করে হাইব্রীডদেরকে নেতৃত্বের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি।’
করিমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর সিরাজী জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদটি দখলে রেখেছেন আওলাদ। টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ এবং নির্বাচনে মনোনয়ন বিক্রি করছেন তিনি। এ অবস্থায় ত্যাগী নেতারা দিনদিন কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। আমি অবিলম্বে আওলাদকে অপসারণ করে দলকে পুনর্গঠন করার দাবি জানাই।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন, জামিল আনসারী, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, হেলাল উদ্দিন, আনিসুর রহমান টুকু, আতিকুল ইসলাম লিটন, আনোয়ার সরকার প্রমুখ।