ঢাকার সাভারে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই গাড়ির যাত্রীদের টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে।
উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী-আমতলা-ধামরাই সড়কের রাঙ্গামাটিয়া ব্রিজ এলাকায় সোমবার রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই মাইক্রোবাসে বর বা কনে ছিলেন না।
মাইক্রোবাসযাত্রী ও বরের মামা উত্তম গাঙ্গুলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বিয়ের একটা অনুষ্ঠানে শিমুলিয়ার কাইলকাপুর এলাকায় গেছিলাম। বিয়েটা ছিল আমার সম্পর্কের ভাইগনার। আমাদের গুরুদেবের মেয়ের ছেলে মানিক গোস্বামীর বিয়ে। আমি ধামরাই থাইকা গেছিলাম। বিয়ের পুরোহিতও ছিলাম আমি।
‘একটা মাইক্রোবাস আর দুইটা হুন্ডা আছিল আমাদের সাথে। আসার পথে রাঙ্গামাটিয়া ব্রিজটা থাইকা একটু সামনে আইসা আমাদের ডাকাতি হয়। প্রায় ১৫-২০ জন ডাকাত আমাদের আক্রমণ করার পরে টাকা ও ৫-৬ ভরি স্বর্ণ নিয়া যায়। তখন বর-কনে আমাদের সাথে ছিল না। ওরা পরে আসছে।’
উত্তম আরও বলেন, ‘ওই দিন রাইত প্রায় একটা থাইকা তিনটা পর্যন্ত ডাকাতি হইছে। আমরা দুইটার সময় আইসা ওইখানে পড়লাম। এক ঘণ্টা ডাকাতির মধ্যে খাড়ায় আছিলাম। পরে আমাদের ছাইরা দিল।
‘কিন্তু ওরা কয়টার দিকে গেছে বলতে পারলাম না। আরও ডাকাতি হইছে জায়গায়। আশপাশের অনেক লোকরে কুপাইছেও। আমাদের টর্চার করে নাই। জিনিসপত্র যা আছিল নিয়া গেছে।’
ঘটনার আরও বর্ণনা দিয়ে উত্তম বলেন, ‘আমার ঘাড়ের মধ্যে একটা রামদা ধরে বলতেছে, যা আছে দিয়া দে। কোপ দিমু কিন্তু। সবার কাছেই রামদা, চাক্কু-টাক্কু আছিল। তখন আমি বললাম যে, তোরা ভাই আমাগো কোনো ক্ষতি করিস না। যা আছে ভাই নিয়া যা।
‘ওরাই পকেটে হাত দিয়া যা পাইছে, যেমন আমার কাছে ১০ হাজার আছিল, আমার মামাতো ভাইয়ের কাছে ১০ হাজার, এ রকম কইরা প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা নিয়া গেছে।’
ডাকাতদের সবার মুখ বাঁধা থাকায় তারা কাউকেই চিনতে পারেননি বলে জানান উত্তম।
তিনি জানান, ডাকাত দলের কাউকে চেনেন না বলে ভুক্তভোগীরা থানায় কোনো মামলা করেননি। তবে ভবিষ্যতে যেন আর ডাকাতি না হয় এমন অভিযোগ করে এসেছেন।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি যে মামলা-মোকদ্দমা করতে হয়।
‘মামলা নিতে তো আর আমাদের আপত্তি নাই। আমরা মামলা নিব এবং এটার সাথে জড়িত সবাইকে অ্যারেস্ট করে আইনের আওতায় আনব। এখানে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। এই কথা তো তাদেরকে (ভুক্তভোগী) আমি বলেছি।’
তিনি জানান, বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ওসি-তদন্তকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত চলছে।
জানতে কল করা হলে আশুলিয়া থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামানকে পাওয়া যায়নি।