ফরিদপুরে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (সিআইডি) করা অর্থপাচার মামলার আসামিদের সহযোগিতা করার অভিযোগে সদর উপজেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুরের চেয়ারম্যান ও সদর যুবলীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম মজনু এবং উপজেলার কানাইপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা শ্রমিক লীগের সংগঠনিক সম্পাদক ফকির বেলায়েত হোসেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরিদ আহমেদ ও অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল। আসামিপক্ষে ছিলেন শাহ আলম ও মো. বাহার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৬ জুন ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও জেলা প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডি। দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচারের অভিযোগে মামলাটি করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাহ আল মাহমুদ। মামলা করা হয় ঢাকার কাফরুল থানায়। পরদিন গ্রেপ্তার করা হয় বরকত ও রুবেলকে।
ওই বছরের ২৪ জুলাই জবানবন্দিতে আশ্রয়দাতা ও তাদের সহযোগী হিসেবে শহীদুল ইসলাম ও ফকির বেলায়েতের নাম জানান গ্রেপ্তারকৃতরা।
এ ঘটনার পর ওই দুই চেয়ারম্যান আত্মগোপন করেন। পরে তারা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষে উচ্চ আদালত তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। জামিন শেষে তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত ১৯ জানুয়ারি জামিন শুনানির দিন ঠিক করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম বিশ্বাস জানান, শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে শহীদুল ও বেলায়েতকে কারাগারে পাঠায়।