ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সালেহপুর সেতুর একটি লেনের গার্ডারে ফাটল দেখা দেয়ার ষষ্ঠ দিনেও মূল সংস্কার কাজ শুরু করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সওজ কতৃপক্ষ বলছে, ইন্সপেকশন শেষ হলেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদিও এর আগে তারা সেতুটি মেরামত করা সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন।
সোমবার সকালে আমিনবাজার সালেহপুর সেতুতে গিয়ে সওজ কতৃপক্ষের তেমন কোন কর্মযজ্ঞ চোখে পড়েনি।
এর আগে শনিবার সেতুর উপরের অংশে ড্রিল করতে দেখা যায় সওজ এর লোকজনকে। এ সময় স্টীলের লম্বা পাত দিয়ে ব্রীজের নিচের অংশে ছাউনি তৈরি করার কথা জানিয়েছিলো তারা।
ঢাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মারুফ হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, 'ব্রীজের ইন্সপেকশন চলতেছে এখনও শেষ হয় নাই। শেষ হলে বলা যাবে। ইন্সপেকশনটাও কাজের অংশ। এটা এমন না যে আমি একটা কাজ করে ফেললাম। আগে তো আপনাকে আইডেন্টিফাই করতে হবে। আজকে ইন্সপেকশন শেষ হবে। শেষ হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।'
সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ার পর থেকে সার্বক্ষণিক গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনার সর্বশেষ তথ্য জানান।
তেমনি একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় বুয়েট, ডেনমার্ক ও সওজ কতৃপক্ষের দুইজন করে মোট ছয়জন এক্সপার্ট সেতু পরিদর্শনে আসেন। পরে তারা সেতুর নিচের অংশে যেখানে গার্ডারে ফাটল তা বিশেষ লেজার লাইটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেন। রাত ১১টার দিকে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে ওই দলের কেউই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ার পরপর এই ব্যস্ততম সড়কে দুর্ভোগ বাড়ে। একটি লেন দিয়ে যানবাহন পারাপার করায় মাঝে মধ্যেই সড়কে দীর্ঘ সাড়ি দেখা দিচ্ছে। মূলত সকাল ও বিকেলে সড়কটিতে যানবাহনের চাপ বাড়ে।’
আমিনবাজার পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই এক লাইনে গাড়ি চলছে। যখন দেখা যাচ্ছে যে লাইনে গাড়ি বেশি সিরিয়াল হয়ে যাচ্ছে তখন অপজিট সাইড বন্ধ করে তখন এটা যেতে যাচ্ছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোতে একটু গাড়ির প্রেসারটা কম থাকে।’
গত বুধবার দুপুর থেকে সালেহপুর সেতুতে যানচলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ঢাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ জন্য আমিনবাজার সালেহপুর ব্রীজের সম্মুখ ভাগে নোটিশ টানিয়ে চলাচলে বিধি আরোপ করা হয়।