বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় আফসার সিকদার নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আহত অবস্থায় সোমবার দুপুরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আফসার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
পুলিশ তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেনি।
৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলাম জোমাদ্দারের অভিযোগ, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী সাকি কাওছার ও তার সমর্থকদের হামলায় নিহত হন আফসার।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে নিপ্পন তালুকদার হিসেবে পরিচিত সাকি নিউজবাংলাকে বলেন, আফসার নিহত হয়েছেন অটোরিকশার চাপায়।
নুরুল হক বলেন, গত রোববার পৌর এলাকার পাতারহাট আর সি কলেজ এলাকায় নির্বাচনি প্রচারে যাওয়ার পথে তার কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজের ওপর হামলা চালায় নিপ্পন তালুকদার ও সহযোগী রাকিব পোদ্দার। খবর পেয়ে সেখানে যান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আফসার। পরে তার ওপরও হামলা চালায় নিপ্পন ও রাকিব।
আফসারকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেয়া হয় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
পাতারহাট আর সি কলেজের সামনের সেলুন মালিক শ্যামল ও চায়ের দোকানি ছোবাহান জানান, কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আফসার রাস্তার ওপর উঠে গেলে পেছন থেকে একটি অটোরিকশা তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি আহত হন।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, তিনি শুনেছেন নিপ্পনকে মারার জন্য আফসার রাস্তার পাশ থেকে ইট তুলতে যান। তখন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এটিই যে সত্য ঘটনা, তা নাও হতে পারে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
আফসারের মৃত্যুতে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করতে কেউ আসেনি বলেও জানান ওসি আবুল কালাম।