কুমিল্লা সদর উপজেলায় আসমা আক্তার নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ সোমবার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্বজনদের দাবি, ঋণের কিস্তির বোঝা সইতে না পেরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক শেখ মফিজুল ইসলাম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
আসমা আক্তার সদর উপজেলার পশ্চিম মাঝিগাছা গ্রামের রিকশাচালক স্বপন মিয়ার স্ত্রী। এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
আসমার বড় ছেলে ভিক্টোরিয়া কলেজে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মেঝো মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে। অভাবের কারণে ছোট ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে পারেননি।
আসমার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, তার বাবার আয়ে তাদের পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই তার মা এনজিও প্রত্যয়, আশা ও ব্র্যাক থেকে ঋণ নেন। প্রতি সোমবার সাপ্তাহিক কিস্তি ও নিয়মিত কিস্তি দিতে হচ্ছিল। সোমবার কিস্তি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিস্তির টাকা জোগাড় হয়নি বলে তার মা লজ্জায় ও ক্ষোভে রান্নাঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।