নির্বাচিত প্রতিনিধি হলেও পরে তাদের কোনো পাত্তা দেয়া হয় না বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।
উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
সভা থেকে নিজেদের মূল্যায়ন করতে, তাদের অবস্থান জনগণকে জানাতে ও উপজেলায় যে কোনো কাজে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান নেতারা। একই সঙ্গে সভা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার খবরদারিতে ক্ষোভ দেখান নেতারা।
কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান বলেন, ‘জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হলেও আমাদের পাত্তা দেয়া হয় না। উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করার জন্য একটি চক্র কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন কাজ করতে পারি না। বিভিন্ন কমিটিতে আমাদের রাখা হয় না। উন্নয়ন কাজে আমাদের যে ন্যূনতম অবস্থান আছে, সেটা আমরা দেখাতে পারি না।’
চৌধুরী কামরুল হাসান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং সংবিধানের স্থানীয় সরকার আইন বাস্তবায়নের পক্ষে।’
তাদের অধিকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন করবেন বলেও জানান।
কিশোরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা নিজেদের দাবি আদায়ে একটি সভা করেন
পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু বলেন, ‘উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলেও প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা সবকিছু উপেক্ষা করে উপজেলায় শাসকের দায়িত্ব পালন করছেন।’
সভায় বক্তারা পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান, কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছির মিয়া, তাড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান আব্দুস সাত্তার, ইটনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন।
সভা পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান।