ময়মনসিংহের তারাকান্দার রামচন্দ্রপুর এলাকায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশু সানজিদা হত্যার রহস্য উদঘাটন ও এ হত্যায় সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার দুপুরে র্যাব-১৪ এর ব্যাটালিয়ন সদর কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার রামচন্দ্রপুর এলাকার সানজিদার বাড়ির পেছনের একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে তারাকান্দা থানার পুলিশ। ওই রাতে সানজিদার বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এরপর বিষয়টি জানতে পেরে তা নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৪। তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাত ১ টার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সানজিদাদের পাশের বাড়ির বাসিন্দা এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে হত্যার ঘটনা। গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে সুপারি কুড়ানোর নাম করে সাত বছরের সানজিদাকে তার বাড়ির পেছনের জঙ্গলে নিয়ে যায় দুই কিশোর। একটু পরই বাড়ি যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে তারা দুজন শিশুটির গলা টিপে ধরে। এতে শ্বাসরোধে মারা যায় সানজিদা। মৃত্যুর পর সেখানেই তাকে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।
এফতেখার উদ্দিন জানান, ওইদিন রাতে সানজিদার বাড়ির ভেতর পড়ার টেবিলের ওপর, বাড়ির জানালায় ও বারান্দায় তিনটি চিরকুট ফেলে রেখে যায় কিশোরদের একজন। তাতে একটি নম্বর উল্লেখ করে লেখা ছিল- ‘আপনার মেয়েকে বাঁচাতে চাইলে এই নম্বরে কল করুন।’
রাতেই ওই নম্বরে সানজিদার পরিবার ফোন করে। কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন একটি বিকাশ এজেন্টের নম্বর থেকে ফোন দিয়ে তাদের ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। কিন্তু সানজিদার পরিবার টাকা না দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
র্যাব-১৪ অধিনায়ক জানান, গ্রেপ্তার কিশোরের স্বীকারোক্তিতে বিকাশ এজেন্ট নিশীথ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরেক কিশোর এখনও পলাতক।তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সানজিদার দাদা মৃত আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে বছর তিনেক আগে কথা কাটাকাটি হয় ওই কিশোরদের একজনের। এর প্রতিশোধ নিতে অপহরণের পরিকল্পনা করে তারা।