বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁদপুরে সেনাপ্রধানের বাবার নামে হাসপাতাল

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:৫৬

চাঁদপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. ইলিয়াছ বলেন, এটা একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবায় হাসপাতালটি পরিচালিত হবে। শুধুমাত্র সিজারিয়ান সেবা ছাড়া সব ধরনের সেবা দেয়া হবে এই হাসপাতালে

চাঁদপুরে মা ও শিশুদের জন্য ১০ শয্যার একটি হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ নিজ গ্রাম মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ টরকীতে তার বাবার নামে নির্মিত এই হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন।

‘আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ নামে এই হাসপাতাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ৩ তলাবিশিষ্ট দুটি আধুনিক ভবনে এই হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

চাঁদপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. ইলিয়াছ বলেন, এটা একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবায় হাসপাতালটি পরিচালিত হবে। শুধুমাত্র সিজারিয়ান সেবা ছাড়া সব ধরনের সেবা দেয়া হবে এই হাসপাতালে। মায়েদের গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসবোত্তর সেবা, পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী এবং স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা, প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ এবং যৌন রোগের চিকিৎসাসহ সীমিত আকারে সাধারণ রোগীর সেবা দেওয়া হবে। এইসব সেবা দেয়ার জন্য সব ধরনের যন্ত্র ও ওষুধ রয়েছে।

ডা. ইলিয়াছ জানান, হাসপাতালটিতে লোকবল নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে সংযুক্ত আদেশে সপ্তাহে একদিন মতলব উত্তর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. নাছির আহমেদ রোগী দেখবেন। তা ছাড়া নার্স, আয়াসহ আরো ৫ জন হাসপাতালটিতে কাজ করছেন। আমাদের চিকিৎসক পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের নির্দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে দুই একজন চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেবেন।

তিনি জানান, এখানে ২ জন মেডিকেল অফিসার, ৪ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা এবং একজন করে ল্যাব টেকনেশিয়ান, ফার্মাসিস্ট, অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর এবং নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেয়া হবে। তা ছাড়া চুক্তিভিত্তিক একজন করে আয়া ও ওয়ার্ডবয় নিয়োগ করা হবে।

ডা. ইলিয়াছ বলেন, এই হাসপাতালের কল্যাণে শুধুমাত্র টরকী গ্রামের মানুষই নয়, পুরো উপজেলাবাসী উপকৃত হবেন। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষদের কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। শুধু জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত টাকা নেয়া হবে। সরকারের এসডিজি অর্জনে হাসপাতালটি ভালোভাবে অবদান রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

টরকী গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া সরকার বলেন, সেনাপ্রধানের কল্যাণে আমাদের গ্রামে মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। ওনার বাবার নামে করা হাসপাতালটির মাধ্যমে আমাদের এলাকার মা-বোনরা সহজেই স্বাস্থ্য সেবা পাবেন। এখন আর কষ্ট করে দূরে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নেওয়া লাগবে না। তা ছাড়া সন্তান প্রসবকালে বিনা চিকিৎসায় কোনো মা মারা যাবে না। আমরা সেনাপ্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এ বিভাগের আরো খবর