নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঘরে ঢুকে সন্তানদের সামনে এক নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ গত ৫ জানুয়ারি মামলা করেন ওই নারী।
মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় পাঁচ জনকে।
এই মামলার তথ্য রোববার নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক। তিনি জানান, ওই নারীর অভিযোগ, গত ১ জানুয়ারি রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢুকে সন্তানদের সামনে তাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় পাঁচ জন।
তার ও সন্তানদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে পালিয়ে যায় তারা।
পরে স্বামী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বের হয়ে আদালতে মামলা করেন ওই নারী।
অভিযোগ আমলে নিয়ে হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন বিচারক।
গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশে গত শনিবার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দুই তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এদিকে, ফেইসবুকে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে একটি নারীকে চিৎকার করতে শোনা যায়। ভিডিওতে দাবি করা হয় এটি ওই নারীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম ফারুক বলেন, ভিডিওটি কে পোস্ট করেছে তা খোঁজা হচ্ছে। ভিডিওর সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আরেক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
ওই ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।