বিএনপি নেতা ও সৈয়দপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে উত্তরবঙ্গ এক জন উজ্জ্বল নক্ষত্র হারাল বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন সরকারের জানাজা অংশ নিয়ে ফখরুল এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু সৈয়দপুর বা নীলফামারী নয়, উত্তরবঙ্গের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালাম আমরা। তিনি শুধু বিএনপির নেতা ছিলেন না, তিনি সব দল ও মতের উর্ধ্বে থেকে আপামর জনতার নেতা ছিলেন। জানাজায় এই জনসমুদ্র সেটাই মনে করায়।’
শুক্রবার বাদ জুমা সৈয়দপুর শহরের পশ্চিম পাটোয়ারীপাড়ায় আমজাদ হোসেন সরকারের জানাজা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমজাদ ছিলেন সাহসী ও সত্যবাদী। তাই তাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। সৈয়দপুরবাসীর উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন। তিনি সৈয়দপুরের মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে গেলেন।’
সৈয়দপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনের জানাজায় হাজার হাজার মানুষ
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চিরিরবন্দর-খানসামা আসনের সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান মিয়া, নীলফামারী-৪ আসনের এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেল, নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক এমপি শওকত চৌধুরী, নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন।
এ ছাড়া নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, বসুন্ধরা কিংসের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে আমজাদ হোসেনকে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হয়।
১৪ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।