চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকার সাদেক আলী মল্লিকপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার সকালে মিরাজুল হাসান নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মিরাজুল হাসান স্থানীয় ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি সেন্টারের মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান নিউজবাংলাকে জানান, শুক্রবার সকালে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় মিরাজুলের মরদেহ দেখতে পান তার মা তরুলতা মণ্ডল। পরে খবর দিলে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছেন।
ওসি আরও জানান, এ সময় ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমি এএসএম মিরাজুল ইসলাম (তুষার) সজ্ঞানে-স্বেচ্ছায় নিজের সম্পূর্ণ ইচ্ছায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম। এই আত্মহত্যার পেছনে কারও এক বিন্দু পরিমাণ কোনো দোষ নেই। সরি মা। রাত ১২টা ৪০ মিনিট।’
ওসি বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। পরিববারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।