চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনি সহিংসতায় ছুরিকাঘাতে আহত ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান রোহিতের মৃত্যু হয়েছে।
আহত হওয়ার সাত দিন পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে মারা যান তিনি।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আশিকুরের বাড়ি নগরের বাকলিয়া থানার ডিসি রোডে। তিনি নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজের ছাত্র ছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের প্রচার শুরুর দিন ৮ জানুয়ারি নগরের দেওয়ানবাজারে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনি প্রচারে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হন আশিকুর।
ঘটনার পরদিন আশিকুরের ভাই জাহিদুর রহমান বাকলিয়া থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। আসামিরা হলেন মহিউদ্দিন, বাবু ও সাবু। তাদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক ইয়াসির আরাফাত নিউজবাংলাকে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুর পার এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী নামে ব্যক্তি নিহত হন।
- আরও পড়ুন: পোস্টার ছেঁড়ার বদলা নিতে খুন?
আহত হন মাহাবুব নামে আরও একজন। তাদেরকে নিজের কর্মী ও সমর্থক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাহাদুর।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামের চকবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামের চকবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
যুবলীগ নেতা সাকিবুর রহমানের দাবি, আশিকুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের শিগগিরই গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান নেতাকর্মীরা।