রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার দ্রুত অপসারণ এবং অপসারণ না করা পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবি না মেনে নিলে লাগাতার কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রাবি সংসদ ছাত্র ফেডারেশন, শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে রাকসু ও রেজিস্ট্রার গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি জানান তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক রাকিব হাসান। রাকসু আন্দোলন মঞ্চের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিলন বলেন, ‘আমরা "অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়" ব্যানারে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ বর্তমান প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন ব্যক্তির অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছি। শিক্ষার্থীদের এই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিকে এই দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত করার ভার দেয়।
‘পরে ইউজিসির গঠিত তদন্ত কমিটি দুই দফা তদন্ত করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্যসহ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে মোট ২৫টি অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়। তদন্ত কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষামন্ত্রণালয়সহ দুর্নীতি দমন কমিশনে এ প্রতিবেদনটি জমা দেয় গত বছরের ২০ ও ২১ অক্টোবর।’
লিখিত বক্তব্যে মিলন আরও উল্লেখ করেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করেন উপাচার্যকে স্বপদে বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয় সুচারুরূপে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও ভিসি, প্রো-ভিসিকে অপসারণ করার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। যা আমাদেরকে আশাহত করেছে।’