একে একে ২৬টি বিয়ে করেছেন বাবু শেখ। ২৭ নম্বর বিয়ের আগের দিন ধরা পড়লেন বিয়েপাগল এই যুবক।
পুলিশ জানায়, চুরি করা বাবু শেখের পেশা। আর নেশা প্রতারণা করে বিয়ে করা।
তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাবু শেখের সহযোগী ও আত্মীয় আবুল খায়ের মাতুব্বর।
বুধবার দুপুরে পুলিশ এ দুই যুবককে রিমান্ডে নিতে চাইলেও ফরিদপুর আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ভাঙ্গা ও সদরপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রথমে উপজেলার জান্দী গ্রাম থেকে আবুল খায়ের ও পরে সদরপুর উপজেলার আকোটের চর গ্রাম থেকে বাবু শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আটক আবুল খায়ের মাতুব্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার জান্দী গ্রামের বাসিন্দা। বাবু শেখের বাড়ি সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর গ্রামে। তারা সম্পর্কে ভায়রা ভাই।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি ভাঙ্গা উপজেলায় পর পর কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে। মামলার সূত্র ধরে প্রথমে জান্দী গ্রাম থেকে আবুল খায়েরকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ বাবু শেখকে ধরে।
বাবু শেখের দেয়া স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মো. আজাদ জানান, বাবু শেখের জীবনের দুটি নেশা- দামি মোবাইল ফোন সেট চুরি করা ও নতুন নতুন বিয়ে করা।
বাবু শেখ দিনের বেলায় চুরি করেন, দামি মোবাইলগুলির আইইএমই নম্বর পরিবর্তন করে তা বিক্রি করে সেই টাকায় পরিচয় গোপন করে বিয়ে করেন।
উপপরিদর্শক মো. আজাদ আরও জানান, গ্রামের বিভিন্ন পরিবারের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে, অভিভাবকদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বিয়ে করতেন বাবু শেখ। বিভিন্ন এলাকায় বিয়ে করার সুবাদে ওই সমস্ত এলাকায় চুরির নতুন সুযোগ তৈরি হতো তার। চুরি করে তিনি নববধূকে ফেলে অন্য এলাকায় পালিয়ে আত্মগোপনে থাকতেন।
পুলিশ আরও জানায়, সর্বশেষ চুরির ঘটনা ছিল ভাঙ্গা উপজেলার ছিলাধরচর গ্রামের পৌরসভার মিজানুরের বাড়িতে। সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ মালামাল চুরি করেন বাবু। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বড় চুরির ঘটনা ঘটান তিনি।
এ ঘটনার ১০দিন পরেই ভাঙ্গার জান্দি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বাবুর বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়। বিয়ে হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার। এর আগে তিনি ২৬টি বিয়ে করেছেন। এই বিয়েটি হলে ২৭টি বিয়ে হতো তার।
বুধবার দুপুরে দুই যুবককে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।