কুমিল্লা সদর উপজেলার রঘুপুরে বেসরকারি সংস্থা ‘এইড কুমিল্লা’র ফলস ছাদে বাসা বেঁধেছিল এক লক্ষ্মীপেঁচা দম্পতি। তাদের ঘরে জন্ম নেয় চারটি ছানা। গত কয়েক দিন ধরে ছানা নিয়ে ওই লক্ষ্মীপেঁচা দম্পতি ভালোই ছিল।
তবে তাদের ঘরে অশান্তি শুরু বুধবার সকাল থেকে। দুর্গন্ধ ছড়ানোর জন্য ওই চার লক্ষ্মীপেঁচা ছানাকে বের করে দেয়া হয়। তাদের জায়গা হয় ওই সংস্থার ছাদে। এখন ঠান্ডা হাওয়ায় জবুথবু হয়ে রয়েছে ছানাগুলো।
এদিকে এখনও বাসায় ফেরেনি বাবা ও মা লক্ষ্মীপেঁচা। ছানাগুলো কাউকে দেখলেই ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে পড়ছে।
এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী জানান, যেই কক্ষটির ফলস ছাদে লক্ষ্মীপেঁচা বাসা করেছিল, সেই কক্ষটিতে দুর্গন্ধের কারণে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না। বিদেশি অতিথিদেরও ওই কক্ষে বসাতে পারছিলাম না। এই কারণেই পেঁচার চারটি ছানাকে কার্টনে রেখে ছাদে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বেলা ১১টায় বনবিভাগের কর্মকর্তাদের তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে বনবিভাগের কাছ থেকে আশানুরুপ সাড়া পাওয়া যায়নি।
এইড কুমিল্লার ছাদে গিয়ে দেখা যায়, ছাদের কোনায় কার্টনে জবুথবু হয়ে বসে আছে ওই চারটি লক্ষ্মীপেঁচার ছানা। আগন্তুক কাউকে দেখলেই ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যাচ্ছে তারা। খাবার হিসেবে এক মুঠো চাল দেয়া হলেও খায়নি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘মানুষের আগ্রাসী আচরণে লক্ষ্মীপেঁচারা বিপন্নপ্রায় প্রজাতি। যে চারটি ছানা পাওয়া গেল, তাদের কোনো ক্ষতি না করে তাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করা উচিত।’
কুমিল্লা বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি। এইড অফিসের নির্বাহী পরিচালককে বলেছি পেঁচার ছানাগুলোকে যেন নিরাপদে রাখা হয়। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেব।’