নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সৎ মাকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন আমির হোসেন নামের এক যুবক।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের লাভরাপাড়া এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে সেলিনা আক্তার নামে মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
নিহত সেলিনা আক্তার (৪০) আড়াইহাজার উপজেলার লষ্করদি এলাকার তাহের আলীর মেয়ে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, আমির হোসেন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি সৎ মাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সেলিনা আক্তারের ভাই থানায় মামলা করেছেন।
মামলা ও আমির হোসেনকে উদ্ধৃত করে ওসি জানান, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিন বছর আগে উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়া সেলিনা আক্তারকে (৪০) বিয়ে করেন।
নুরু মিয়ার আগের স্ত্রীর ছোট ছেলে আমির হোসেনের (২২) স্ত্রী বিথী আক্তারের সঙ্গে সৎ মা সেলিনা আক্তারের প্রায়ই কলহ হতো। ১১ জানুয়ারি বিথী আক্তারের সঙ্গে তার সৎ শাশুড়ির চুলায় রান্না করা ও বিছানায় প্রস্রাব করা নিয়ে বাগবিতন্ডা হয়।
মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে বাবা নুরুর অনুপস্থিতিতে সেলিনা আক্তারের সঙ্গে আমির হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেলিনা আক্তার ধারাল ছুরি নিয়ে সৎ ছেলের দিকে তেড়ে যান। এ সময় আমির হোসেন সৎ মায়ের হাত থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে তাকে আঘাত করে হত্যা করেন।
ওসি জানান, রাতেই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় আমির হোসেন পলাতক ছিলেন। তবে বুধবার সকালে তিনি রূপগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতালে সেলিনা আক্তারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। বিকেলে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।