নির্বাচনি সহিংসতায় গুলিতে এক জনের প্রাণহানির ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাছ কাদের হিসেবে পরিচিত নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল কাদেরের ২৫ অনুসারীকেও আটক করা হয়েছে।মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। কাদেরকে আটক করা হয় তার বাসা থেকে।
মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মোগলটুলি এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের অনুসারীদের গুলিতে ষাট বছরের বাবুল সর্দার নিহত হওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর অভিযোগ করে বলেন, মোগলটুলির মগপুকুর এলাকায় এ হামলায় তার আরও এক সমর্থক গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি বলেন, ‘মগপুকুর এলাকায় গণসংযোগ করার সময় বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের অনুসারীরা শাটার গান নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে বাবুল সর্দার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে এ সময় যুবলীগ কর্মী মাহবুবও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বিদ্রোহী প্রার্থী সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আবদুল কাদের।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ কুমার দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গোলাগুলিতে নিহতের ঘটনায় আমরা আবদুল কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করেছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।