বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্যারেজে মাছ চাষে ভাগ্য বদল হানিফের

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:২৫

গ্যারেজের একটি অংশ ব্যবহৃত না হওয়ায় দুই বছর আগে সেখানে বায়ো ফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন হানিফ। এতে সাত লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। বর্তমানে বছরে ১ লাখ টাকা করে আয় করছেন তিনি।

গাড়ি রাখার গ্যারেজের অব্যবহৃত জায়গায় মাছ চাষ করে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন চাঁদপুরের মোহাম্মদ হানিফ গাজী। চাঁদপুর শহরের স্বর্ণখোলা এলাকায় এই গ্যারেজের অবস্থান।

গ্যারেজের একটি অংশ ব্যবহৃত না হওয়ায় দুই বছর আগে সেখানে বায়ো ফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন হানিফ। এতে সাত লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। বর্তমানে বছরে ১ লাখ টাকা করে আয় করছেন তিনি।

হানিফ বলেন, ‘দুই বছর আগে আমি স্বর্ণখোলা এলাকায় ৩৬ শতাংশ জায়গা ভাড়া নিই। সেখানে একটি গাড়ি রাখার গ্যারেজ দিই। তবে এ থেকে যে টাকা আয় হতো তা খুব একটা বেশি ছিল না। একসময় আমি লক্ষ্য করলাম আমার গ্যারেজের পুরোটা ব্যবহার হচ্ছে না। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম গ্যারেজের অব্যবহৃত অংশে মাছ চাষ করব।’

তিনি বলেন, গ্যারেজের অব্যবহৃত ওই অংশের জমির পরিমাণ প্রায় ১২ শতাংশ। সেখানে বায়ো ফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করি। ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব দেখে তিনি এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের সঙ্গে পরিচিত হই ।

তিনি বলেন, এখন আমি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছি। বিজ্ঞানসম্মত হওয়ায় অল্প জায়গাতেই বেশি মাছ চাষ করতে পারছি। এতে করে অল্প বিনিয়োগে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হচ্ছে।

হানিফ গাজী বলেন, প্রথম এককালীন ৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মাছ চাষ শুরু করি। বর্তমানে আমি বছরে প্রায় ১ লাখ টাকা করে আয় করছি। কই, শিং, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছি।

ভবিষ্যতে কর্মপরিধি আরও বাড়ানোর স্বপ্ন রয়েছে জানিয়ে হানিফ বলেন, মাছ চাষ আরো বড় পরিসরে করার ইচ্ছে রয়েছে। বায়ো ফ্লক পদ্ধতিতে চাষ করা এসব মাছ খেতেও অনেক সুস্বাদু বলে জানান তিনি।

মাছ চাষ করে হানিফ নিজের ভাগ্য ফেরানোর পাশাপাশি বেকারদের জন্যও কর্মসংস্থানেরর সৃষ্টি করেছেন। অনেক বেকার যুবক তার মাছের খামারে চুক্তিভিত্তিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এ ছাড়া হানিফের মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক বেকার যুবক তার কাছে আসেন।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, এটা খুবই খুশির সংবাদ আমাদের জন্য। একটি গ্যারেজের অব্যবহৃত অংশতে মাছ চাষের মাধ্যমে নিজে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি মাছের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছেন তিনি। প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে এভাবে এগিয়ে এলে দেশের চিত্র পাল্টে যেতে বাধ্য। কেউ পরিত্যক্ত জমিতে এই ধরনের মৎস্য খামার গড়ে তুলতে চাইলে জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর