নড়াইলে যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যা মামলায় মো. এনায়েত মোল্যা নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমারার আদেশ দিয়েছে আদালত।
জরিমানার এ টাকা এনায়েত মোল্যার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। আসামী এনায়েত মোল্যার বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালে এনায়েত মোল্যার সঙ্গে সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের নারগিস বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে ও জমি বিক্রি করে টাকা দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে নারগিসের ওপর নির্যাতন করতেন স্বামী এনায়েত।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর রাত ১১টা থেকে ২২ নভেম্বর ভোর রাত ৫টার মধ্যে যেকোনো সময়ে স্ত্রী নারগিসকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে বাড়ির পাশের আম গাছে শাড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। এরপর নারগিস আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করেন।
নারগিসের ভাই-বোন ২২ নভেম্বর সকালে বাড়ির পাশে আম গাছে নারগিসের লাশ দেখতে পেয়ে সদর থানায় খবর দেয়।
ময়না তদন্তে নারগিসকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে রিপোর্ট আসলে নারগিসের বোন পারভীন খাতুন বাদী হয়ে এনায়েত মোল্যাকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
তদন্তে নারগিস বেগমকে যৌতুকের দাবিতে হত্যার ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় এনায়েত মোল্যাকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। রায়ের সময় আসামী এনায়েত মোল্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি এমদাদুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিবুর রহমান।